চার জামায়াত নেতাকে ইউএনও’র রুমে মারধোর করলেন বিএনপি নেতারা
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম [ ﷽ ]
১২:৫১ এম, শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ১ চৈত্র, ১৪৩১, ১৪ রমজান, ১৪৪৬
১২:৫১ এম, শনিবার,
১৫ মার্চ, ২০২৫,
১ চৈত্র, ১৪৩১,
১৪ রমজান, ১৪৪৬
শিরোনাম:

চার জামায়াত নেতাকে ইউএনও’র রুমে মারধোর করলেন বিএনপি নেতারা

টাইম টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক।। আপডেটঃ ১১:৫১ পিএম, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫ 10 বার পড়া হয়েছে

টাইম টিভি ২৪ ডটকম ফটো

পাবনার সুজানগরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কক্ষে সোমবার বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মীর হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর ৪ নেতা।

তারা হলেন-উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ফারুক ই আজম, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি টুটুল বিশ্বাস, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ওয়ালিউল্লাহ বিশ্বাস, সাবেক কাউন্সিলর মোস্তাক আহমেদ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বেলা তিনটার দিকে জামায়াতের উল্লিখিত ৪ নেতা ইউএনও’র অফিসে যান। এ সময় উপজেলা বিএনপির সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মজিবর রহমানের নেতৃত্বে কয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মীও ইউএনও’র কাছে যান। তারা জামায়াত নেতাদের দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন- এরা কেন এখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকে। একথা বলেই বিএনপি নেতারা ওই জামায়াত নেতাদের মারধর করেন। এতে জামায়াত নেতারা গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ঘটনার পর ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। জামায়াতের উপজেলা আমির কেএম হেসাব উদ্দিনসহ কয়েকশ’ নেতাকর্মী ইউএনও অফিসে ছুটে আসেন।

উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম বিশ্বাস, সদস্য সচিব শেখ আব্দুর রউফ, যুবদলের আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান পিন্টুসহ নেতারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। বিষয়টি নিয়ে ইউএনও’র সঙ্গে বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের দরবার চলে। পরে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম বিশ্বাস, বর্তমান সদস্যসচিব শেখ আব্দুর রউফ ও যুবদলের আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত এ সকল সন্ত্রাসী আমাদের দলের হতে পারে না। আমরা বলেছি- যারা অপরাধী তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিতে। এদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আলোচনা করা হবে।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে প্রধান অভিযুক্ত মজিবুর রহমান খান ও মানিক খানের সঙ্গে যোগাযোগ করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সুজানগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক। আহতরা এখনো মামলা করতে আসেননি। তারা এলেই মামলা নেওয়া হবে। যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর রাশেদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। যেহেতু আমার কক্ষে মারধর ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে কাজেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম বিশ্বাস বলেন, কোনো সন্ত্রাসী আমাদের দলের হতে পারে না।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল গাফ্ফার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আমরা সাংগঠনিকভাবে কর্মসূচি দেব।

টাইম টিভি ২৪ ডটকম/সারাদেশ

মন্তব্য করুন

আপলোডকারীর তথ্য

tttv-admin

আপলোডকারীর সব সংবাদ
শিরোনাম: