মাহফুজ প্রতিবেশি দেশের ‘গুপ্তচর’ শাহরিয়ার কবিরদের ভাষায় কথা বলেছেন: পরওয়ার
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম [ ﷽ ]
১০:২২ পিএম, শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১ চৈত্র, ১৪৩১, ১৩ রমজান, ১৪৪৬
১০:২২ পিএম, শুক্রবার,
১৪ মার্চ, ২০২৫,
১ চৈত্র, ১৪৩১,
১৩ রমজান, ১৪৪৬
শিরোনাম:

মাহফুজ প্রতিবেশি দেশের ‘গুপ্তচর’ শাহরিয়ার কবিরদের ভাষায় কথা বলেছেন: পরওয়ার

টাইম টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক।। আপডেটঃ ১১:২৭ পিএম, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫ 12 বার পড়া হয়েছে

টাইম টিভি ২৪ ডটকম ফটো

অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ‘জামায়াত যুদ্ধাপরাধের সহযোগী ছিল’ বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, গত ১২ মার্চ বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম তার দীর্ঘ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে ‘জামায়াত যুদ্ধাপরাধের সহযোগী ছিল’ মর্মে যে মন্তব্য করেছেন আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি তার এ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বক্তব্যে বিস্মিত। মাহফুজ আলমের বক্তব্যের জবাবে আমি স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই, তিনি জামায়াত সম্পর্কে ভিত্তিহীন ও অসত্য বক্তব্য দিয়ে একটি প্রতিবেশি দেশের ‘গুপ্তচর’ কারাবন্দী শাহরিয়ার কবিরদের ভাষাতেই কথা বলেছেন।

জামায়াতের এ নেতা আরও বলেন, মাহফুজ আলমের স্মরণ রাখা উচিত, তিনি একটি অরাজনৈতিক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা। সে কারণে কোনো রাজনৈতিক দলকে টার্গেট করে সমালোচনা ও অসত্য বক্তব্য দেয়ার কোনো নৈতিক ও বিধিগত অধিকার তিনি রাখেন না। রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে হলে রাজনীতির ময়দানে এসে বক্তব্য দেয়া সমীচীন। তার এ বক্তব্য বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অরাজনৈতিক চরিত্রকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, মাহফুজ আলমের জানা থাকার কথা যে, শেখ মুজিবের আমলে যুদ্ধাপরাধের জন্য যে তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল, তাতে যুদ্ধাপরাধের সাথে জামায়াতের কারো সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যে কারণে শেখ মুজিব নিজেই সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দিয়েছিল এবং আত্মসমর্পণকারী পাকিস্তানি সৈন্যদের পাকিস্তানে ফেরত পাঠিয়ে ওই সমস্যার সমাধান করে গিয়েছেন। জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েই তিনি তার নাগরিকত্ব ফিরে পেয়েছেন। শেখ হাসিনা ‘ক্যাঙ্গারু কোর্ট’ বসিয়ে জামায়াতের নেতাদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’ দিয়েছিল এবং তাদের দলীয় লোকদের দিয়ে ‘মিথ্যা সাক্ষী’ সাজিয়ে জামায়াত নেতাদের যে বিচার করেছিল তা দেশে-বিদেশে কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চ বানিয়ে বিচারপতিদের ‘ভয়’ দেখিয়ে যে বিচার করা হয়েছে তা ছিল বিচারের নামে একটি প্রহসন। তার প্রমাণ স্কাইপ কেলেঙ্কারি, সাবেক বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বক্তব্য, মাওলানা সাঈদীর মামলার সাক্ষী সুখরঞ্জন বালীর বক্তব্য।

আরও বলা হয়, বৃটিশ সুপ্রিম কোর্টে হাসিনা সরকারের ওই বিচার গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। এ থেকেই প্রমাণিত হয়, ১৯৭১ সালে জামায়াত নেতাদের যুদ্ধাপরাধের সহযোগী হওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মাহফুজ আলমের বক্তব্য সম্পূর্ণ অসত্য, ভিত্তিহীন ও অনুমান নির্ভর। তবে তার এ বক্তব্য কোনো রাজনৈতিক অসৎ অভিপ্রায় থেকে বা কোনো অপশক্তির ইন্ধনে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের অপরিণামদর্শী আকাঙ্ক্ষা থেকেও হতে পারে বলে দেশবাসী মনে করে।

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার লেখার জবাবে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার জানান, জামায়াতে ইসলামী আহলে সুন্নত আল জামায়াতের পূর্ণ অনুসারী। জামায়াতের আক্বিদার বিষয়ে প্রশ্ন তোলা সম্পূর্ণ অবান্তর ও এখতিয়ার বহির্ভূত। জামায়াতে ইসলামী, ফরায়েজী জামায়াত, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলামের সাথে বৃটিশ আমল থেকে শুরু করে স্বাধীন বাংলাদেশের ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করে আসছে।

জামায়াতের এই বিবৃতির পর উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মনের ‘বিভ্রান্তি’ দূর হবে এবং তার ‘ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বক্তব্যের’ জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করবেন এবং ভবিষ্যতে জামায়াত সম্পর্কে এ ধরনের বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার

টাইম টিভি ২৪ ডটকম /জাতীয়

মন্তব্য করুন

আপলোডকারীর তথ্য

tttv-admin

আপলোডকারীর সব সংবাদ
শিরোনাম: